• রাত ১০:৩২ মিনিট রবিবার
  • ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
সোনারগাঁয়ে তিনদিন ব্যাপী ফায়ার সার্ভিসেরর স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষন সোনারগাঁয়ে আস্থা ফিডে সেনা প্রধান সোনারগাঁয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ সোনারগাঁও পৌরসভায় কালামের কেন্দ্র কমিটির সভা সোনারগাঁয়ে বিশ বছর পর বাকপ্রতিবন্ধী ভাইকে ফিরে পেলেন তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান কালামকে বিজয়ী করেতে জামপুরে আলোচনা সভা সোনারগাঁয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন ৫ প্রার্থী সোনারগাঁয়ে ভবন ঘেঁষে মাটি খনন, ভেঙ্গে পড়লো পাশের স্থাপনা কালাম একমাত্র যোগ্য প্রার্থী, উপজেলা নির্বাচনে তাকে ভোট দিন: ডা. বিরু সোনারগাঁয়ে সার্বজনীন পেনশন মেলা ও স্পট রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্ধোধন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বউয়ের মামলা সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, ৪ জন বাতিল সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ সানাউল্লাহকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যা চেষ্টা ও ১৫ মামলার আসামী গ্রেপ্তার বন্দরে ইউএনও অফিসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যের আত্মহত্যা সোনারগাঁয়ে ২দিন ধরে মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ সোনারগাঁয়ে দুই ব্যাক্তি আটক, ৪৯ লাখ জাল টাকা উদ্ধার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আজিজুল ইসলাম মুকুল সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল তাপদাহের প্রভাব পড়েছে সোনারগাঁয়ের বাজার ও মার্কেটগুলোতে
উপজেলা নির্বাচন যেমন হতে পারতো

উপজেলা নির্বাচন যেমন হতে পারতো

Logo


সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা
 সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা , প্রধান সম্পাদক, জিটিভি
 প্রকাশিত: ০১:০৯ পিএম, ০৯ মার্চ ২০১৯

সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দুই মাস পর উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হচ্ছে কাল। যে কোন স্থানীয় সরকার নির্বাচন যতটা উৎসবের আমেজে প্রান্তিক মানুষের দুয়ারে হাজির হয়, এবার তা নেই। সঙ্গত কারণেই নেই, কারণ প্রধান একটি রাজনৈতিক দল, বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করেছে। সরকারি দলের জন্য একতরফা, একচেটিয়া এই নির্বাচনে স্বাভাবিক কারণেই জন-উৎসাহ কম। তবুও নিয়ম রক্ষার নির্বাচন করতেই হচ্ছে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে।

 ‘শাসক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এখন সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল। এই দলই পারতো সম্পূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন উপহার দিতে দেশকে। নিজ দলের যোগ্য, সৎ ও ভাল ভাবমূর্তির নেতাদের মনোনয়ন দিয়ে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে উন্মুক্ত করে দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে হারিয়ে যাওয়া নির্বাচনী রোমাঞ্চকে ফিরিয়ে আনতে।’ 

বিএনপি কেন এলো না? কেন বর্জন করলো? নির্বাচন কমিশন কি যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে দলটিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে? এরকম অসংখ্য প্রশ্ন হয়তো উচ্চারিত হবে এবং হতেই থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে এবং এমন একটি বড় রাজনৈতিক দল ও তার নেতৃত্বে পরিচালিত জোট ছাড়াই এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

বিএনপি’র অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচনটি প্রাণ হারিয়েছে একথা সত্য। কিন্তু সরকারি দল, আওয়ামী লীগও কি সচেষ্ট ছিল অন্তত নিজস্ব উপায়ে একটা ন্যায্য ও ভাল নির্বাচন করার? সহজ উত্তর হবে ‘না’। যেহেতু বিরোধী শক্তির প্রধান রাজনৈতিক দলটি এই নির্বাচনে নেই, তাই প্রথমেই বলা উচিত ছিল এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে না। উন্মুক্ত করে দিয়ে শক্ত হাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা হাতে নিলে দলের ভেতর যারা যোগ্য ও জনপ্রিয় তারা একটা আন্তরিক প্রচেষ্টা নিতে পারতেন নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার। জনগণও পছন্দের সুযোগটা পেত।

কিন্তু তা হয়নি। মনোনয়ন বিতরণের নামে কোন কোন উপজেলায় দল এমনসব ব্যক্তিকে দলীয় প্রতীক দিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, সহিংসতা, নারী নির্যাতন, সংখ্যালঘুদের জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ খোদ দলের ভেতর থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে। এদের অনেকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও উঠছে যে, এরা আওয়ামী লীগে থেকে জামায়াতের রাজনীতিকে স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করছে।

আবার দলের মনোনয়ন পাওয়া, না পাওয়া নিয়ে এমনসব কোন্দল ও সংঘর্ষের খবর আসছে, যেন এই দ্বন্দ্ব, সংঘাত প্রান্তিক পর্যায়ে গৃহে গৃহে বিবাদ তৈরি করছে। নির্বাচন এক সময় হয়ে যাবে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে দেশে যেসব কাণ্ড ঘটেছে, তার রেশ থেকে থাকে।

এর মধ্যেই বিপুলসংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আইনী দিক দিয়ে দেখলে কোন সমস্যা নেই। কারো বিরুদ্ধে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেতো তাকে ভোটের আগেই নির্বাচিত ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু বিনা ভোটে নির্বাচনের এই সংস্কৃতি যখন একটি স্থায়ী ধারা হিসেবে আবির্ভূত হতে দেখছি, তখন আশংকা করতেই হয়।

২০১৪ এর ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে ১৫৪ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আছে। বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। প্রশ্ন হলো, একটা স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দেখতে হবে যে, বিনা ভোটে জেতার একটা ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হয়েছে?

এমনকি ২৮ বছর পরে অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও ২৫ শতাংশ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অভিযোগ এসেছে, ভয় দেখিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন কেন যেন মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ এই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ফাঁদে পড়েছে, যেখান থেকে বের হওয়ার কোন উদ্যোগ নেই।

অনেকেই সংবিধানের দোহাই দিবেন। কিন্তু সত্যি বলতে কি সংবিধান বা আইন সব কিছুই স্পষ্ট করে দেয় না। ষোলো আনা স্পষ্টতা সম্ভবও নয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জড়িত রাজনৈতিক দলের ভূমিকা সব থেকে বেশি। শাসক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এখন সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল। এই দলই পারতো সম্পূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন উপহার দিতে দেশকে। নিজ দলের যোগ্য, সৎ ও ভাল ভাবমূর্তির নেতাদের মনোনয়ন দিয়ে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে উন্মুক্ত করে দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে হারিয়ে যাওয়া নির্বাচনী রোমাঞ্চকে ফিরিয়ে আনতে।

রাজনৈতিক ভাবে আমাদের সমাজ বিভাজিত। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ বিরোধী যে বিশাল বিভক্তি আছে, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এখন দেখছি খোদ শাসক দল নিজেও নানা ভাবে ভেতরে ভেতর খণ্ডিত। সংসদ নির্বাচন থেকে স্থানীয় নির্বাচন, সবক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের ভেতর থেকেই জামায়াত সংশ্লিষ্টতাসহ অসংখ্য অভিযোগ। আমাদের রাজনৈতিক কর্মীরা এমনিতেই লড়াই-খ্যাপা। নিজ দলের ভেতরেও এখন সেই একই সংস্কৃতি।

সস্তা অহঙ্কার এবং অবান্তর জেদ কখনো কারও উপকার করেনা। দলীয় প্রতীক পাওয়া যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, খোঁজ নিয়ে তাদের বর্জন করা হোক। আইনি কারণে বাদ দেয়া সম্ভব না হলেও সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ রাখা হোক। তাহলে জনগণই এসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে আসল ব্যবস্থাটা নিতে পারে। অনমনীয় অহমিকা স্থানীয় পর্যায়ে দলের কাঠামোর উপর অহেতুক কুঠারাঘাত করতে পারে।

লেখক : প্রধান সম্পাদক, জিটিভি।

সূত্র: জাগোনিউজ


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution